প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি বান্দরবান
আমরা বেশির ভাগ
সময় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি। নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য সময় বের করে নেওয়াটা
খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও আমাদের নিজের বা পরিবারের জন্য কিছু সময়
বের করে নেওয়াটা একটা নৈতিক দায়িত্ব। তাই একটু সময় করে বন্ধু বান্ধব বা পরিবার
নিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে যেমন নিজের কাজে শক্তি পাবেন তেমনি পরিবার ও
বন্ধু বান্ধবদের সাথে কিছু ভালো সময় কাটলো। বাংলাদেশে ভ্রমণ করার জন্য বেশ কিছু মনোমুগ্ধকর
স্থান যেখানে গেলে যে কারোর মন ভালো হয়ে যাবে। এই স্থান গুলোর মধ্যে বান্দরবান একটি।
এখানে আপনি এক সাথে অনেক গুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে পারবেন। এক সাথে নদী,
পাহাড়, পর্বতমাল, বন, ঝর্ণা এমন সৌন্দর্যের আকর্ষণীয় ভ্রমণের স্থান সাধারণত খুব
কমই পাওয়া যায়।এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য জলপ্রপাত নিখুঁত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
দেখে আপনি বিমোহিত হবেন। এখানকার আদিবাসীদের খাবার, হস্তশিল্প, সংস্কৃতি ইত্যাদি আপনার মন ও
হৃদয়কে মুগ্ধ করবে। সহজেই আদিবাসী সংস্কৃতিকে ঘনিষ্ঠভাবে অভিজ্ঞতা করতে পারেন।
Bandarban Beauty of Nature |
নীলগিরি বাংলাদেশে দর্শণীয় স্থান গুলোর মধ্যে যে স্থানটির কথা লোকমুখে
বেশি শোনা যায় তার নাম হলো বান্দরবান এর নীলগিরি। যদি কেউ মনে করে মেঘের ভেলায়
পাহাড়ি জনপথে কিছু সময় একান্তভাবে কাটাবে তাহলে বর্ষাকাল হলো এর সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। এটি
প্রায় ৩৫০০ ফুট উচু এবং বান্দরবান থেকে ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। আসা যাওয়ার
পথে রাস্তার পাশে আদিবাসী গ্রামগুলোর রঙিন সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন্ত শৈলী আপনাকে
নতুন অভিজ্ঞতা দান করবে। নীলগিরির রাতের আকাশ এবং ভোরের নতুন সূর্য দেখার অভিজ্ঞতা
আপনাকে বার বার সেখানে যেতে তাড়না দিবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বেশ
কয়েকটি রিসোর্ট আছে। আগে থেকেই রিজার্ভেশন নিশ্চিত করে যেতে হবে। বান্দরবান থেকে
বা থানচি থেকে স্থানীয় জীপ ভাড়া করে সেখানে যেতে পারবেন।পথে সামরিক চেক পোষ্টে নাম
ও ঠিকানা নিবন্ধন করে যেতে হবে।
নীলাচল
নীলাচল বান্দরবান শহর থেকে সবচেয়ে নিকটতম পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। তাই প্রাইভেট জীপ বা অটো রিক্সা ভাড়া করেও সেখানে যাওয়া যায়।বর্ষাকালে মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলা এবং সন্ধ্যায় সুবর্ণ গোধূলী আপনার মনকে রোমাঞ্চিত করবে। আসা যাওয়ার পথে আদিবাসী গ্রাম গুলো আপনার চোখের দেখা তৃষ্ণাকে তৃপ্ত করবে।
নীলাচল বান্দরবান শহর থেকে সবচেয়ে নিকটতম পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। তাই প্রাইভেট জীপ বা অটো রিক্সা ভাড়া করেও সেখানে যাওয়া যায়।বর্ষাকালে মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলা এবং সন্ধ্যায় সুবর্ণ গোধূলী আপনার মনকে রোমাঞ্চিত করবে। আসা যাওয়ার পথে আদিবাসী গ্রাম গুলো আপনার চোখের দেখা তৃষ্ণাকে তৃপ্ত করবে।
নাফাকুম
নাফাকুমকে বলা হয় বাংলাদেশের জলপ্রপাত গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত। এটির অবস্থান বান্দরবানের থানচি উপজেলার রিমাকরি নামক স্থানে সাঙ্গু নদীর কাছে।নাফাকুম রিমেকরি জলপ্রপাত নামেও পরিচিত। বান্দরবান ঘুরতে আসলে এই জলপ্রপাতটি দেখে না গেলে অপূর্ণই থেকে যাবে আপনার ভ্রমণ। তাই ভ্রমণটাকে পরিপূর্ণ করার জন্য নাফাকুম দেখে আসেন। এছাড়া সময় বেশি থাকলে রিজুক জলপ্রপাত ও যাদিপাই জলপ্রপাত দেখে যেতে পারেন।
বগা লেক প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের খুঁজে যারা দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায় তাদের জন্য অকৃত্রিম রূপ নিয়ে অপেক্ষা করছে বগা লেক।এই লেক বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক হ্রদ। প্রকৃতির প্রেমিদের এবং ভ্রমণকারীদের জন্য বিস্ময়, অসীম সৌন্দর্য্য এবং সাহসিকতার উৎস হিসেবে বিবেচিত এই হ্রদ। বান্দরবানের রুমা সদর উপজেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান এবং লেকটির আয়তন প্রায় ১৫ একর। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচু হ্রদ হিসেবে স্বীকৃত।এটি সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৩০০০ ফুট উপরে। এই হ্রদের জলের রঙ নীল এবং খুব সুন্দর। নৃতাত্বিকগণ হ্রদটিকে ২০০০ বছরের পুরানো প্রাকৃতিক হ্রদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিভিন্ন সূত্রের উপর ভিত্তি করা বলা হয় বগা হ্রদের জল বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রং ধারণ করে। আপনিও আপনার মনকে রাঙিয়ে তোলতে এই হ্রদটি (Boga Lake) ঘুরে আসতে পারেন। বগা হ্রদের পাশেই স্থানীয় আদিবাসীদের বসবাস।তারা খুবই সহজ সরল এবং অতিথি পরায়ন। পর্যটক এবং ভ্রমণকারীদের বাসগৃহের জন্য আকর্ষণীয় ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। অল্প টাকায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
স্বর্ণ মন্দির পাহাড়েরর উচু চূড়ায় অবস্থানরত স্বর্ণ মন্দির না দেখলে বান্দরবান ভ্রমনের অনেকটা বৃথা হয়ে গেছে মনে হবে। এটি বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বগা লেক প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের খুঁজে যারা দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায় তাদের জন্য অকৃত্রিম রূপ নিয়ে অপেক্ষা করছে বগা লেক।এই লেক বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক হ্রদ। প্রকৃতির প্রেমিদের এবং ভ্রমণকারীদের জন্য বিস্ময়, অসীম সৌন্দর্য্য এবং সাহসিকতার উৎস হিসেবে বিবেচিত এই হ্রদ। বান্দরবানের রুমা সদর উপজেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান এবং লেকটির আয়তন প্রায় ১৫ একর। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচু হ্রদ হিসেবে স্বীকৃত।এটি সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৩০০০ ফুট উপরে। এই হ্রদের জলের রঙ নীল এবং খুব সুন্দর। নৃতাত্বিকগণ হ্রদটিকে ২০০০ বছরের পুরানো প্রাকৃতিক হ্রদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিভিন্ন সূত্রের উপর ভিত্তি করা বলা হয় বগা হ্রদের জল বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রং ধারণ করে। আপনিও আপনার মনকে রাঙিয়ে তোলতে এই হ্রদটি (Boga Lake) ঘুরে আসতে পারেন। বগা হ্রদের পাশেই স্থানীয় আদিবাসীদের বসবাস।তারা খুবই সহজ সরল এবং অতিথি পরায়ন। পর্যটক এবং ভ্রমণকারীদের বাসগৃহের জন্য আকর্ষণীয় ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। অল্প টাকায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
স্বর্ণ মন্দির পাহাড়েরর উচু চূড়ায় অবস্থানরত স্বর্ণ মন্দির না দেখলে বান্দরবান ভ্রমনের অনেকটা বৃথা হয়ে গেছে মনে হবে। এটি বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
তাই শহর থেকে আপনি রিক্সা বা অটো রিক্সা ভাড়া করলেই খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারবেন। সেখানে প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা। সেখান থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং, কেওকড়াডং, সাঙ্গু নদী এবং কাছাকাছি বেশ কিছু জলপ্রপাত ঘুরে আসতে পারবেন।
চিম্বুক পাহাড়ঃ
চিম্বুক পাহাড় বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতমালা। সর্পিল বা আকাবাকা পথ উচু পাহাড় নিচে গিরিখাট। মেঘের রাজ্যের আনাগুনা। চিম্বুকের চলতি পথেই আপনার মনকে আন্দোলিত করবে। বান্দরবান শহর থেকে মাত্র 26 কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এ পাহাড়টির উচ্চটা প্রায় ২৫০০ ফুট। এখানে বেশ কয়েকটি সরকারি মালিকানাধীন বিশ্রাম ঘর পাবেন।আপনি যদি এখানে থাকতে চান তাহলে আগে থেকেই রিজার্ভেশন নিশ্চিত করতে হবে।
এখানে যাওয়ার জন্য স্থানীয় জীপ ভাড়া করে গেলে ভালো। এই এলাকায় দুটি সরকারি মালিকানাধীন বিশ্রাম ঘর আছে। আপনি যদি এখানে থাকতে চান, তাহলে কর্তৃপক্ষ থেকে রিজার্ভেশন নিশ্চিত করতে হবে। প্রবেশ পথে আপনার নাম ঠিকানা নিবন্ধন করে যেতে হবে সামরিক চেক পোষ্টে।
এখানে যাওয়ার জন্য স্থানীয় জীপ ভাড়া করে গেলে ভালো। এই এলাকায় দুটি সরকারি মালিকানাধীন বিশ্রাম ঘর আছে। আপনি যদি এখানে থাকতে চান, তাহলে কর্তৃপক্ষ থেকে রিজার্ভেশন নিশ্চিত করতে হবে। প্রবেশ পথে আপনার নাম ঠিকানা নিবন্ধন করে যেতে হবে সামরিক চেক পোষ্টে।
শৈল প্রপাতঃ
সৌন্দর্যের দিক থেকে বাংলাদেশের জলপ্রপাত গুলোর মধ্যে শৈল প্রপাত অন্যতম। এই জলপ্রপাত যে কারোর চোখকে মোহিত করবে। এই জলপ্রপাত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত একটি পর্যটন সাইট। বর্ষা মৌসুমে এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আপনার দেহ মন। সেখানে অবস্থানরত আদিবাসীদের আতিথেয়তা খাবার, সংস্কৃতি দেখলে মন চাইবে আরো কটা দিন থেকে যায়। বান্দরবান পৌঁছানোর পর থানচি উপজেলা থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার এর পথ। তাই আপনি সেখান থেকে খুব সহজে ব্যক্তিগত জিপ বা স্থানীয় জীপ অথবা অটো রিকশা করেও যেতে পাারবেন।
সাঙ্গু ঢাকা যেমন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত তেমনি বান্দরবানও সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত। সাঙ্গু নদী শীতকালে শান্ত থাকলেও বর্ষাকালে আক্রমনাত্বক হয়ে ওঠে। তবে বান্দরবান এর সৌন্দর্য্যকে এই নদীটি ভিন্ন মাত্রাই নিয়ে এসেছে। যোগাযোগ এর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পাহাড়, ঝর্ণা, বন দেখার পর নদীটাও আপনার মনকে রোমঞ্চিত করবে। নৌকা ভাড়া করে আপনি এখানে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের চমকপদ সৌন্দর্যের স্থান সর্বোচ্চ পর্বতমালা তাজিংডং ও কেওকরাডং ঘুরে আসতে পারবেন। তবে পর্বতমালায় ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রচুর প্রস্তুতির প্রয়োজন।পায়ে হেটে অনেক দূর যেতে হবে তাই যথেষ্ট পরিমানে খাবার পানি, শুকনা খাবার ও সাথে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স রাখতে হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশের চমকপদ সৌন্দর্যের স্থান সর্বোচ্চ পর্বতমালা তাজিংডং ও কেওকরাডং ঘুরে আসতে পারবেন। তবে পর্বতমালায় ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রচুর প্রস্তুতির প্রয়োজন।পায়ে হেটে অনেক দূর যেতে হবে তাই যথেষ্ট পরিমানে খাবার পানি, শুকনা খাবার ও সাথে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে বন, পাহাড়, পর্বত, ঝর্ণা ও নদী ভ্রমণে যাওয়ার আগে একটি পূর্ব প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। আর যেখানে যাচ্ছেন সেই জায়গা সম্পর্কে জেনে গেলে আপনার ভ্রমণ অনেক ভালো হবে। পাহাড়ি জায়গার রাস্তাঘাট অনেক বিপদজনক স্থানীয়রা ভালো জানে এবং অভিজ্ঞ তাই তাদের দিয়ে গাড়ী চালানো বুদ্ধিমানের কাজ।
0 Post a Comment:
Post a Comment