Biloy Mrong

Biloy Mrong

Friday, June 1, 2018

জোড়াডুবি (ছোট গল্প)

জোড়াডুবি (ছোট গল্প)

Love Make You Beauty

পূর্ব আকাশে ভোরের আলো ছড়ানোর আগেই শিলা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন পড়াশুনা করে। এরপর মাকে বাড়ির বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা করে। তারপর প্রস্তুত হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। তার মা তাকে সবসময় সাবধান করে দেয় যেন রাস্তায় সতর্ক হয়ে চলাফেরা করে। কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে এভাবে প্রতিদিন একা কলেজে যেতে দেখে মায়ের খুব চিন্তা হয় তবুও তার কিছু করার নেই। বাড়ি থেকে কলেজ বেশি দূরে নয় তাই শিলা হেটেই কলেজে আসা যাওয়া করে। পথে ছোট একটা নদী আছে। সেখানে নৌকা করে কিছুদূর যেতে হয়। নৌকা থেকে নেমে পাঁচ মিনিট হাটলেই তার কলেজ। মাঝে মধ্যে ভয় হয় কিন্তু কিছু করার নেই। কারণ তাদের গ্রাম থেকে সে একাই ঐ কলেজে  পড়াশুনা করে। 
কিছুদিন ধরে সে খেয়াল করে আসছে একজন সুদর্শন যুবক প্রতিদিন একই সময় নদীর ঘাটে আসে এবং শিলা যখন নৌকায় উঠে তখন সেও উঠে। কয়েকদিন দেখা দেখি চোখা চোখি হয়েছে অনেকবার কিন্তু দুজনের মুখ থেকে একটি কথাও ফুটে উঠেনি। শিলা মনে মনে ভাবে ছেলেটি অচেনা হলেও দেখতে খুবই সুদর্শন এবং পরিপাটি। দেখে তো ভদ্র ঘরের কোন সুসন্তান বলেই মনে হয়। সে মন স্থির করে নিল যুবকটির সাথে কথা বলবে এবং তার নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করবে। এছাড়া জেনে নিবে প্রতিদিন তার আগে ঘাটে এসেও নদীটা পার না  হয়ে তার আসা পর্যন্ত কেন দাড়িয়ে থাকে? পরদিন এসেও শিলা যুবকটিকে ঘাটেই দেখতে পেল। শিলা মনে মনে ভাবলো ভালোই হয়েছে। কারণ শিলা আগেই ঠিক করে রেখেছিল আজ যদি ছেলেটা আসে তাহলে তাকে আচ্ছা করে অপমান করবে যেন চিরজীবনের জন্য এই ঘাটটির কথা ভুলে যায়। কিন্তু শিলা যতই তার কাছে আসছে তার কঠিন তিক্ত সজল কোমল হতে থাকে। এরপর দু’জনেই নৌকায় গিয়ে বসলো। ছেলেটি বসার পর শিলা তার কাছাকাছি জায়গা নিয়ে বসলো। প্রতিদিনের ন্যায় যুবকটি গুটিসুটি হয়ে বসে আছে যেন কোন মামলার আসামী। শিলা গলা পরিষ্কার করার ভঙ্গিমায় একটি কাশি দিয়ে যুবকটিকে প্রশ্ন করল-
-যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি কি আপনার নাম পরিচয় জানতে পারি?
তখন যুবকটি কিছুটা নিচু স্বরে বলল- আমাকে বলছেন?
-এখানে তো আপনি ছাড়া আমার পাশে তেমন কেউ নেই!
-সরি, কি যেন বলছিলেন?
-না মানে….. আমি বলছিলাম আজ কি বার (শিলা কথাটি ঘুরিয়ে বললো)
-আজ শনিবার এবং আমার নাম সজল।
শিলা বলল, আপনি কি আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন?
-নাতো.. ভয় পাবো কেন?
-হুমমম---কিছুদিন হয় আপনাকে এখানে দেখছি, আপনি কি এই গ্রামে নতুন এসেছেন?
-হ্যা আমি এই গ্রামে নতুন। এইতো আপনাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয় আমার পিসির বাড়ি।
-আমাদের বাড়ি মানে ? আপনি আমাদের বাড়ি চিনেন নাকি?
-আগে থেকেই চিনতাম তা নয়। কিছুদিন আগে গ্রামে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম হঠাৎ আপনাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আপনাকে বারান্দায় বসে একটি বই পড়তে দেখেছিলাম । সেদিনই জানলাম ওটা আপনাদের বাড়ি।
প্রথম দিকে সজল একটু ভয় পেলেও এখন খুব ঘুছিয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলছে। আর এই কথা বলাটাও একটি শিল্প বা আর্ট যা সবাই পারে না।
- আমার মনে হয় আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন। বই পড়ার অভ্যাসটা কিন্তু অনেক ভালো। এই মর্ডাণ ও ডিজিটাল যুগে আমাদের অনেকেই আর বই পড়তে চাই না।
-আমার নামটা তো জানলেন, আমি কি এখন আপনার নাম জানতে পারি?
-এতকিছু জেনে গেছেন অথচ নামটা জানলেন না! কি আজব মানুষ আপনি? ঠিক আছে আপনি যেহেতু আপনার নাম বলতে কৃপনতা করেননি তাই আমিও কৃপনতা করছিনা। আমার নাম শিলা। সামনে থানা শহর আমি ওখানের মহিলা কলেজে কর্মাস নিয়ে পড়ছি এবং এই বছর এইচএসসি পরীক্ষা লিখবো। এখন আমি একটি প্রশ্ন করব আশা করি সঠিক উত্তর দিবেন?
-সজল বলল, চেষ্টা করব, কঠিন প্রশ্ন হলে কিভাবে উত্তর দেব?
-তেমন কঠিন কিছু নয় নদীর পানির মতোই স্বচ্ছ ও সহজ আমার প্রশ্ন।
-তার মানে?
-মানেটা হলো… আমি বেশ কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি আপনি প্রতিদিন আমার আগে এই ঘাটে আসেন কিন্তু আমি না আসা পর্যন্ত স্থির দাঁড়িয়ে থাকেন এসবের মানে কি?
-সজল বলতে শুরু করে ’’মানুষ অনেক সময় অনেক কিছুর জন্য প্রতীক্ষায় ও আশায় থাকে কিন্তু মানুষের সব আশা পূর্ণ হয় না। কিছু কিছু কারণে মানুষের অনেক আশা অপূর্ণ থেকে যায়। যেমন ধরেন একটি মাকাল ফল। এই ফল যখন গাছে পাকে তখন তাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগে এবং সুস্বাদু বলে মনে হয়। কিন্তু মানুষ সেটা খেতে চাইলেও খেতে পারেনা। কারণ ফলের ভিতরটা অনেক কালো এবং স্বাদে অনেক তেতো। কিন্তু আপনাকে সেই মাকাল ফলের মতো মনে হয় না। আর যদি আপনার ভিতরটা মাকাল ফলের মতো মনে হয় তাহলে বিফলে যাবে আমার সমস্ত আশা ও প্রতীক্ষা। আশা করি আমি কি বলতে চাচ্ছি তা বুঝতে পেরেছেন নাকি এখনও বুঝেও অবুঝের মতো আমার সাথে অভিনয় করছেন?
-আমি কি অভিনেত্রী যে আপনার সাথে অভিনয় করব?
-সজল বললো, হয়তো অনেকদিনের সাজিয়ে রাখা আমার ভালোবাসার সজলটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে আপনার মুখের কয়েকটি বাক্যবানে। ভেঙ্গে ফেল আমার এই ভগ্ন সজল তবুও আপনাকে অপরাধী ভাববো না। কারণ ভালোবাসা ভালোলাগা সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবুও আমি বলবো আমি আপনাকে………….
-কিছুক্ষণ নিরব থাকার পর শিলা মিষ্টি হেসে বলল,
-থেমে গেলেন কেন? বলুন কি যেন বলছিলেন? শেষ করুন; আমি আপনাকে কি…..?
-আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি। এই কথা বলার পর সজল নীরবে দক্ষিণে বয়ে যাওয়া বহমান স্রোতের দিকে তাকিয়ে থাকলো।
-শিলা কিছুক্ষণ পর নীরবতা ভেঙ্গে বলল,
-আপনি তো বেশ কথা বলতে শিখেছেন; আপনার প্রতিটি কথার মধ্যেই যেন সাহিত্যের ফুলঝুড়ি বইছে। বুঝা যায় আপনার উপন্যাস পড়ার অভ্যাস আছে। আপনার কথাগুলো শুনলে পশ্চিম বা পূর্বদেশের যে কোন মেয়েই আপনার ভালোবাসার থলিতে আটকে যেতে পারে। কিন্তু মি. সজল ভালোবাসা তো আর ছেলের হাতের মোয়া নয় যা আপনি হাত বাড়ালেই পেয়ে যাবেন।  আর সব মেয়েরাও ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখা কোন বাসি ফুলও নয় যে একটু হাতের স্পর্শে ঝড়ে পড়বে। তা ছাড়া ভালোবাসা হলো একটি মন ও হৃদয়ের বন্ধন যা না বুঝেই সবার সাথে আবদ্ধ করা যায় না। কথা শেষ না হতেই নৌকা পাড়ে এসে থামলো।
শিলার কথা এখনও শেষ হয়নি। আগামীকাল কথা শেষ করবে বলে নৌকা থেকে নেমে সোজা কলেজের পথে চলে গেল। শিলার কথার উত্তর হ্যা বা না বলে সজল নীরবে নৌকাতে বসে যতক্ষন শিলাকে দেখা যায় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। শিলার ঘন কালো লম্বা চুলে তাকে অপূর্ব দেখাচ্ছিল। এক হাল ভাঙ্গা নাবিকের মতোই যেন অনেক দূর পথ হারিয়ে একটু আশা একটু ভালোবাসার পাবার আশায় আশ্রয় নিয়েছে এই গ্রামে।
এদিকে শিলা কলেজে গিয়ে কোন ক্লাসেই মন বসাতে পারছেনা। শুধু হৃদয়ের কথাগুলো তার মাথায় ঘুরছে।  আনমনা ভাবেই সারাদিন কেটে যায়। ধীরে ধীরে সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে। রক্তিম আলো চারিদিকে এক মায়াময় মোহজাল রচনা করেছে। প্রকৃতির এই অকৃত্রিম পরিবেশে সৃষ্টির সব কিছু ফিরে যায়  আপন আপন নীড়ে। আগামীকালের সকাল কখন আসবে এই চিন্তায় হৃদয়ের মন অস্থির ও চঞ্চল দেহমন সারাদিন ছটফট করছিল। ঘর অন্ধকারময় করে শুয়ে আছে। হঠাৎ ঘরে আলো জ্বলে উঠাতে সে চমকে গেল। তারপর পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে অনন্যা দরজায় দাড়িয়ে আছে।
অনন্যা পিসির মেয়ে। হৃদয়ের শুষ্ক মুখ দেখে অনন্যা জিজ্ঞেস করল,
-দাদা, আলো না জ্বালিয়ে অন্ধকার ঘরে কি করছো? শরীর খারাপ হয়েছে নাকি?
-না, আমার কিছু হয়নি ভালো লাগছিলনা তাই……। তবুও অনন্যা হৃদয়ের কপাল ‍ও মাথায় হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখল। ছিপছিপে গড়ন মাথায় লম্বা চুল বেশী সাজগোজ না করলেও এই সাধারণ অবস্থাতেই তাকে খুব সুন্দর লাগে। সজল তাদের বাড়িতে আসার পর থেকে তার আদর যত্বের সব দায়িত্ব যেন সেই নিয়েছে। সে খুব সুন্দর ও মিষ্টি করে কথা বলে গ্রামের মেয়েরা যে রকম হয় সেভাবেই। সজল তাকে মাঝে মধ্যে আদর মাখা দুষ্টুমি করে রাগিয়েও তোলে। এরপর কিছু বলার পর অনন্যা তার পড়ার ঘরে চলে গেল। এই বছর সে এসএসসি পরীক্ষা লিখবে তাই পড়াশুনায় খুব সিরিয়াস। অনন্যা ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার পরেই সজল বিড়বিড় করে কবিতা বলতে থাকে---
“তোমাকে খুঁজেছি আমি নক্ষত্রে নক্ষত্রে
নীল আকাশের নিচে
তোমাকে খুঁজেছি আমি আকাশে বাতাসে
সবুজ শ্যামল মাঠে
তোমাকে খুঁজেছি আমি পাহাড়ি ঝর্ণায়
পাতাল পুরীর দেশে
কোথাও খুঁজে পায়নি তোমায় তাইতো এসেছি তোমার সন্ধানে
নির্মল সবুজে ঘেরা এই গ্রামে।”

চাঁদনী রাতে আলো দেখতে সে বাইরে বেরিয়ে এলো এবং হাঁটতে হাঁটতে চলে এল সেই নদীর ঘাটে। মনে কি প্রশান্তির অনুভূতি। কি অদ্ভত ভাব! যেন আকাশে আজ নবমীর চাঁদ উঠেছে। একটি আধামরা গাছের নিচে বসে ভাবতে থাকে তার অতীত বর্তমান ও ভবিষতের কথা। শরতের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে যাচ্ছে তার সজল-মন-প্রাণ। শান্ত , স্নিগ্ধ ও নিরীহ নদীর দিকে সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আর ভাবে কত মা-বাবা কত ছেলেমেয়ে কত তরুণ-তরুণী মহাকালের এই বীথি পথে আসে যায় তবুও থেমে নেই তার যৌবনা স্রোত। একাকী নির্জনে পৃথিবী আধ্যাত্ন রূপ অবলোকন করে সে। আর ফিরে যাচ্ছে সেই শৈশবে ঘটে যাওয়া দিনগুলির দিকে। কত আলো ছায়া কত পাখির দল কত বনকুসুম কত গাছপালা, গাঁয়ে মাঠের সবুজ ক্ষেত। কিন্তু আজ নিমেষেই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির বৈচিত্র। প্রকৃতির যে নিজস্ব ভাষা আছে মানুষ তা উপভোগ করতে পারছে না। তাদের আনন্দ ভরা সৌন্দর্য আজ নির্লিপ্ত ও নির্বিকার ভাবে চেয়ে আছে মানুষের দিকে। নদীর ধারে বসে সে আজিকার এই আসন্ন মৃত্যু ও নবরূপ দেখতে পায়। এসব কিছু ভাবতে ভাবতে কখন যে অনেক সময় চলে গেল তা সে খেয়াল করতে পারেনি। আর যখন সে তার ঘড়ির দিকে তাকাল শিউরে উঠল! রাত বারটা বেজে দশ মিনিট! এত রাতে সে নদীর ধারে একা বসে আছে। তাই আর দেরি না করে তখনই সে ঘরে চলে গেল। চারিদিকে গভীর নিঃস্তব্ধতা কোথাও কোন কিছুর শব্দ নেই। তাই খুব সাবধানে বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। কিন্তু তার দু’চোখের পাতা আর এক হতে চাচ্ছে না। মনে শুধু হারানোর ভয়। শিলা যদি আগামীকাল তার ভালোবাসাকে গ্রহণ না করে তাহলে কি হবে!
পরদিন অনন্যা ঘরে এসে দেখে সজল তখনও ঘুমাচ্ছে। এর আগে সজল কখনও এতো বেলা করে ঘুমাইনি। সে হৃদয়ের কানের কাছে গিয়ে ডাক দিয়ে তাকে ঘুম ভাঙালো। অনন্যা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল---
-রাতে বুঝি ঘুম হয়নি যার জন্য এখন পর্যন্ত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলে? তুই ঠিক বলেছিস, সারারাত ঘুম হচ্ছিল না। শেষ রাতের দিকে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি তা বুঝতে পারিনি।
-তুমি তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে আস নাস্তার সময় হয়ে গেছে। এই কথা বলার পর অনন্যা ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল তখন সজল তাকে ডাক দিয়ে দাঁড়াতে বললো।
অনন্যা দরজায় দাঁড়িয়ে বলল,
-কি বলতে চাও তাড়াতাড়ি বলো আমার অনেক পড়া আছে।
-এখানে আস, না হলে বলবনা।
অনন্যা যখন তার কাছে আসল সজল তাকে বলল,
-তোকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।
-সুন্দর না ছাই………
-হা সত্যিই বলছি। তুই নিজে আয়নায় গিয়ে দেখনা, তোর নাকের ডগায় এই সকাল বেলাতেই বিন্দু বিন্দু ঘাম জমাতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। এই কথা বলেই সজল অনন্যার নাক ধরে হাল্কা টান দেয়। এতে অনন্যা কিছুটা লজ্জা পেলেও হৃদয়ের কথাগুলো শুনতে তার খুব ভালো লাগছিল। মানুষকে প্রশংসা করলে মানুষের মন ভালো থাকে। আর মন সুন্দর থাকলে মানুষকে দেখতে এমনিতেই সুন্দর দেখায়।
এদিকে শিলাও খুব চিন্তায় আছে আজ কি শেষ কথা বলবে এই নিয়ে। তাই আজকে সে কিছু কথা বলবে বলে আগেই বেরিয়ে পড়লো। এদিকে তার ফাইনাল পরীক্ষা খুব কাছে চলে আসছে। ঘাটে গিয়ে সে লক্ষ করলো সজল একটি গাছের নিচে দাড়িয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে।
শিলা স্বাভাবিক ভাবেই তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল-
-রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তো? নাকি সারারাত জেগে ছিলেন? যাই হোক আজ আপনার সাথে কিছু কথা আছে বলেই একটু আগে চলে এলাম। গতকাল কি যেন বলছিলাম আপনার মনে আছে কি?
-যার মনে রাখার সেই যদি মনে না রাখে তাহলে কি কথা বলবেন বলে এসেছেন?
শিলা মিষ্টি হেসে বললো,
-চলুন নৌকায় গিয়ে কথা বলি। কলেজ পর্যন্ত যেতে যেতে হয়তো আমার কথা শেষ হবে ।

                                                                       চলবে………………………………………………..


1 Post a Comment: