২১ তম ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে কিছু জানা অজানা তথ্য
অবশেষে
বিশ্ববাসীর সবচেয়ে বড় আসর ২১ তম বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা নামলো রাশিয়ার মস্কোতে। ১৯৩০
সালে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো উরুগুয়ে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে কে
চ্যাম্পিয়ন হবে তা নিয়ে বিশ্ববাসীর জল্পনার কল্পনা শেষ নেই। আর্জেন্টিনিা, ব্রাজিল,
স্পেন, ফ্রান্স নাকি গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি আবার বিশ্বকাপ ট্রপিটি নিজের ঘরে
রেখে দিবে। আর যদি তাই হয় তাহলে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের সম পর্যায়ে চলে আসবে
জার্মানি। তবে যে যাই বলুক ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ সারাবিশ্বকে অনেক চমক দেখাবে এটা অনেকেই
ধারণা করছে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে নতুন নতুন চমক আর সকালে, বিকালে কিংবা রাতে চায়ের
কাপে আড্ডায় বিশ্ববাসীকে জমিয়ে রাখবে।
ভেন্যু : ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আসরে রাশিয়ার মোট
১২টি ভেন্যু ব্যবহৃত হবে। বিশ্বকাপে ৩২টি দল অংশ গ্রহণ করছে। তবে অবাক হওয়ার মতো বিষয়
হলো ১২টির ভেন্যুর মাত্র একটি ইয়েকাতেরিনবুর্গ ভেন্যুটি এশিয়া মহাদেশ অংশে পড়েছ। বাকী
১১টি ভেন্যু রাশিয়ার ইউরোপের অংশের ১০টি শহরে । মস্কোতে দুটি ভেন্যু স্পার্তাক ও লুঝানিকি।
সবচেয়ে বড় ভেন্যু লুঝানিকি যার ধারণ ক্ষমতা ৮১ হাজার। উদ্বোধনী ও ফাইনাল সহ মোট সাতটি
খেলা হবে এই ভেন্যুতে। তারপরেই সেন্ট পিটার্সবার্গকে তৃতীয় নির্ধারণী ম্যাচ সহ মোট
সাতটি খেলা।
রেফারী : এই বিশ্বকাপে ফিফা ৩৬ জন রেফারি, ৬৩
সহকারী রেফারী আর ১৩ জন ভিডিও (ভিএআর) রেফারী চূড়ান্ত করেছে। নতুন রেফারিং অভিনবত্ব
যুক্ত হবে এবারের বিশ্বকাপে। রেফারিং এ ভিএআর অনেক বিতর্কের অবসান ঘটাবে। আরেকটি নতুন
জিনিস আসছে এবারের বিশ্বকাপে। নকআউট পর্বে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দলগুলো চতুর্থ খেলোয়ার
বদল করতে পারবে।
এশিয়া উইরোপ : এই প্রথম বারের মতো এমন একটি দেশে
বিশ্বকাপ হচ্ছে যেটি ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশ দুটিতেই অবস্থিত। যেখানে ১১২টি দেশের সতের
হাজার চল্লিশ জন স্বেচ্ছাসেবক আতিথ্য দেবেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ফুটবল পর্যটকদের।
প্রাইজমানি : বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি
পাবে ৩,৮০,০০,০০০/- মার্কিন ডলার আর রানার্সআপ দল পাবে ২,৮০,০০,০০০/- ডলার।
বল : এই বিশ্বকাপের বলের নাম দ্যা টেলস্টা
১৮। নামের মতো বলের নকশাটাও একটু সেকেলের, তবে ব্যবহার করা হয়েছে একদম আধুনিক প্রযুক্তি।
এবার কৃত্রিম উপগ্রহের ভেতরের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে প্রতিটি বলে। সব বলেই সংযুক্ত
আছে এনএফসি চিপ। দূর থেকে স্মার্টফোনের সাহায্যে বলের গতিপ্রকৃতির হিসাব রাখতে সাহায্য
করবে এই চিপ।
লোগো : লোগোর ওপরের অংশটা দেখলে মনে হবে
জাদুর বল। লাল, নীল, সাদা, কালো ও সোনালী রঙে মোহাবিষ্ট হওয়া মতো এবারের বিশ্বকাপ লোগো।
রাশিয়া দেশ যেমন বিশাল তেমনি সমৃদ্ধ তাদের সংস্কৃতি। আর এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ফুটে উঠেছে
বিশ্বকাপ ট্রপির আদলে তৈরী করা এইবারের লোগোর চিত্রকলায়। লোগোর চাঁদ, তারা গ্রহের
ছবি বলে দেয় মহাশূন্য অভিযানে রুশরাই ছিল অগ্রদূত।
মাসকট: ফিফার ওয়েবসাইটে ১০ লাক্ষের বেশী রুশ
নাগরিক ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন মাসকট। নেকড়ের আদুরে ২০১৮ বিশ্বকাপের মাসকটের নাম
‘জাবিভাকা’ । রুশ ভাষার শব্দ জাবাভিকা’র বাংলা অর্থ ‘যে গোল করে’ । পরনে থাকবে লাল-নীল-সাদা
রঙের জার্সি। চোখে চশমা। নকশা করেছেন ইয়েকাতেরিনা
বোচারোভা।
তথ্যসূত্রঃ বিশ্বকাপের বাঁশি (প্রথম আলো)
Zabiavaka Mascot |
তথ্যসূত্রঃ বিশ্বকাপের বাঁশি (প্রথম আলো)
0 Post a Comment:
Post a Comment